জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫: ১২টি মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য


এক নজরে মূল বিষয়:

জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে গঠিত কমিশনের উদ্যোগে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবে একমত হয়েছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো। তবে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন ও ক্ষমতার ভারসাম্য সংক্রান্ত আরও আটটি প্রস্তাবে এখনো পূর্ণ ঐক্যমত হয়নি।


কি রয়েছে ঐকমত্য হওয়া প্রস্তাবগুলোর মধ্যে?


একজন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী পদে সর্বোচ্চ ১০ বছর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।


সংসদ সদস্যদের ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা আরও বাড়ানো হবে।



এই সংস্কার প্রস্তাবগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি জাতীয় সনদের খসড়া তৈরি করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলোকে এই খসড়া প্রদান করা হয়েছে এবং ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে মতামত বা সংশোধনী দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।


জাতীয় সনদ কবে চূড়ান্ত হবে?


কমিশনের লক্ষ্য ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করা। এতে সংস্কার কমিশনগুলোর কাজ, প্রেক্ষাপট এবং দলগুলোর অঙ্গীকার স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে।


কমিশন ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য:


গত বছরের অক্টোবর মাসে গঠিত হয় ছয়টি সংস্কার কমিশন— সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন, প্রশাসন ও পুলিশ নিয়ে।


ফেব্রুয়ারিতে কমিশনগুলো তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।


এরপর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়।


১৬৬টি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব নিয়ে দুই ধাপে আলোচনা চলছে।



আলোচনার অগ্রগতি:


প্রথম পর্বে (২০ মার্চ - ১৯ মে) পৃথকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়।


দ্বিতীয় পর্বে (শুরু: ৩ জুন) দলগুলোর সম্মিলিত আলোচনায় ১২টি প্রস্তাবে ঐকমত্য অর্জিত হয়েছে।


দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় অংশ নিয়েছে মোট ৩০টি দল ও জোট।



কমিশনের বক্তব্য:


জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, যেসব বিষয়ে এখনো আলোচনা চলছে, সেগুলো চূড়ান্ত না হওয়ায় সনদের খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। দলগুলোর কাছ থেকে মতামত পাওয়ার পর চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করা হবে।



---


SEO কিওয়ার্ড সাজেশন (ইংরেজিতে):

National Charter 2025, Bangladesh political reforms, Constitutional reform Bangladesh, Muhammad Yunus commission, Bangladesh Prime Minister term limit, Bangladesh parliamentary reform, Jatiya Sanad 2025.