তারিখ: ৬ জুলাই ২০২৫


সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচয়, তারপর ভালোবাসার টানে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে খুলনার দাকোপে এসে হাজির হয়েছেন চীনের সিচুয়ান প্রদেশের যুবক ঝাং বুথাও। তিনি বিয়ে করেছেন চালনা পৌরসভার আসাভুয়া খ্রিস্টান পল্লীর বাসিন্দা পিংকি সরদারকে। তাদের দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন এলাকার মানুষ।

নবদম্পতির সাথে কথা বলে জানা যায়, ঝাং বুথাও চীনের সিচুয়ান প্রদেশে একটি রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করতেন। অন্যদিকে পিংকি এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পর থেকেই বাড়িতেই ছিলেন। ফেসবুকে দুজনের পরিচয় হলেও ভাষার সমস্যা ছিল দুজনেরই। যোগাযোগের মাধ্যম হয়েছিল গুগল ট্রান্সলেটর।

গুগল ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে কথোপকথন চলতে থাকে এবং সেখান থেকে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। অবশেষে ঝাং বুথাও বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেন। গত জুনের শেষে তিনি খুলনায় আসেন এবং কয়েকদিনের মধ্যেই মোংলায় খ্রিস্টান রীতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বর্তমানে নবদম্পতি দাকোপের আসাভুয়া গ্রামে পিংকির বাড়িতেই রয়েছেন।

পিংকির পরিবারের সাথে দেখা করতে গেলে জানা যায়, প্রতিদিনই আশপাশের গ্রাম থেকে বহু মানুষ নতুন এই জুটিকে এক নজর দেখতে আসছেন। ভাষার সমস্যার কারণে ঝাং বুথাওয়ের কথা অনেকেই বুঝতে না পারলেও হাসি-আড্ডা থেমে থাকছে না। শুরুতে খাবার নিয়ে কিছুটা সমস্যা হলেও এখন পুরোপুরি বাংলাদেশি খাবারের সাথে মানিয়ে গেছেন ঝাং বুথাও।

পিংকি বলেন, ‘আমাদের বিয়ের অনুষ্ঠান অনলাইনে ঝাং-এর পরিবারও দেখেছেন। তারা খুব খুশি। ঝাং এখানেই ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি আমার পাসপোর্ট ও ভিসার কাজ করবে, আর মন চাইলে আমাকে চীনে নিয়ে যাবে।’

একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ঝাং বুথাও বলেন, ‘পিংকি এবং তার পরিবার খুব ভালো। এখানকার মানুষও দারুণ অতিথিপরায়ণ। আমি বাংলাদেশেই থেকে ব্যবসা করতে চাই।’

পিংকির বাবা স্বপন সরকার জানান, ‘প্রথমে জামাইয়ের কথা কিছুই বুঝতাম না। পরে মোবাইল অ্যাপ দিয়ে কথা বলা শিখেছি। ওর ব্যবহার খুবই ভালো। ওদের সুখে থাকার জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’