ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা


ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা বর্তমানে চরমে পৌঁছেছে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ: সর্বশেষ আপডেট (৯ মে ২০২৫)

🔥 সামরিক অভিযান ও পাল্টা হামলা

ভারতের "অপারেশন সিন্ধুর" এর আওতায় পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় জইশ-ই-মোহাম্মদের সিনিয়র নেতা আব্দুল রউফ আজহার নিহত হয়েছেন, যিনি ২০০২ সালে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লের হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন ।The Sun

পাকিস্তান পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় দাবি করেছে যে, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে এবং ভারতে শতাধিক ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে কিছু হামলায় ধর্মীয় স্থানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।The Guardian

🧨 সীমান্তে গোলাবর্ষণ ও বেসামরিক হতাহত

কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের উপর সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকে সীমান্তে গোলাবর্ষণ ও ড্রোন হামলা বেড়েছে। ভারতীয় নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে অন্তত ১৮ জন এবং পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ১৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন ।AP News

⚠️ আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ও প্রতিক্রিয়া

উত্তেজনার কারণে ভারতের অন্তত ২৪টি বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে এবং আইপিএল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। ভারত সরকার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-কে ৮,০০০-এর বেশি অ্যাকাউন্ট ব্লক করতে নির্দেশ দিয়েছে, যার মধ্যে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের অ্যাকাউন্টও রয়েছে ।AP News

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, "যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত"। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক নেতারা, যেমন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার, উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, "যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত"। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক নেতারা, যেমন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার, উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন ।The Sun

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, এই সংঘাত যদি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নেয়, তবে তা দক্ষিণ এশিয়ার জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত অবিলম্বে কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা।